একটি ভাল গল্পের এমন চরিত্র, দৃশ্য এবং ধারণা প্রয়োজন যা পাঠককে গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগ্রহী করে রাখে। তবে, একটি আকর্ষণীয় প্লট একটি ভাল উপন্যাসকে চমৎকার করে তুলে। যদি তোমার প্লট ঠিক মত লিখা না হয়ে থাকে তাহলে, তোমার গল্প ব্যর্থ হবে। লেখকরা খুব সহজেই তাদের বানানো দুনিয়ায় হারিয়ে জান, এবং এমন গল্প লিখেন যা ভাল হয় না, অথবা অনুসরণ করা যায় না। একটি আকর্ষণীয় প্লট লিখা খুব কঠিন কিছু নয়, যত খোন পর্যন্ত তুমি নিচের কৌশল গুলো অবলম্বন করছ।

১। একটি প্রোলগ দিয়ে শুরু কর

কেন? আমি শুনছি তুমি জিজ্ঞেস করছ। এটা পূর্বে অনেক বার করা হয়েছে। হ্যাঁ, সত্য, এবং এটা কার্যকর। এটা গতানুগতিক হয় না, যখন ঠিক ভাবে করা হয়ে থাকে। প্রোলগ উপন্যাসের জন্য অনেক শক্তিশালী শুরু হতে পারে। না, এটা অ্যাকশানের শুরু নয়, অ্যাকশান টি ঘটার কারণ। এটাই সেই জিনিস যা গল্পটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। ধরণের উপর নির্ভর করে, প্রোলগ বিভিন্ন রকম হতে পারে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য এক: দৃশ্যটি শুরু সেট করা, ঐ দুনিয়া এবং চরিত্র গুলোকে সেট করা, যদিও প্রথম প্রথম চরিত্র গুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত নাও মনে হতে পারে।

২। দ্বিতীয় চ্যাপটার থেকে শুরু কর

অনেক লেখক অ্যাকশান শুরু করার আগে চরিত্র গুলর জীবন সেট করা প্রয়োজনীয় মনে করে করেন। তবে, চেষ্টা কর তোমার খসড়াতে সোজা-সুজি দ্বিতীয় চ্যাপটারে চলে যেতে, এবং দেখ কি ঘটে। অ্যাকশান হল সেই জিনিস যা পাঠকে তোমার গল্পের মাঝে টেনে আনে, বিশেষ করে যদি নায়কের জীবন বিপদে থাকে। না, আমারা জানতে চাই না কিভাবে তোমার নাইয়া রোজ সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠত এবং সে কে ছিল, কেমন দেখতে ছিল এবং সে নিজেকে নিয়ে কি ভাবতো। যা দেখানো উচিত তা হল সে তার স্বাভাবিক জীবনের বাইরে কিছু করছে। উপন্যাসে পরে তাকে ভাল করে জানার জন্য অনেক সময় আছে।

৩। ব্যাতিক্রমী কিছু চিন্তা কর

কিছু লেখক লেখা শুরু করার আগেই একটি প্লট নির্ধারণ করে রাখেন। কিছু লেখক বিস্মিত হতে চান এবং একটু আগে থেকে চিন্তা করে লিখতে থাকেন। এটা জরুরী নয় – উভয় ধরনের ঔপন্যাসিকই ভাল প্লট যুক্ত একটি চমৎকার উপন্যাস প্রদান করতে পারেন। যখন উপন্যাসটি লিখবে বা প্লটের প্রতি টা দৃশ্যের এক এক করে রুপরেখা চিন্তা করবে, তখন ব্যাতিক্রমী কিছু চিন্তা করতে হবে ও কিভাবে তোমার গল্প সামনে এগোবে। একটি দৃশ্য লিখার আগে তা নিয়ে নানা চিন্তা ও তার ফলাফল ব্রেইনস্টোরম কর, এবং কখনোই প্রথম চিন্তা বা তার ফলাফল যা মাথায় আসে, তা ব্যাবহার কর না। প্রথমটা নিশ্চিত গতানুগতিক। কি কারণে তা কি জানো তুমি? কারণ, তুমি সেটা অনেক বার কোথাও না কোথাও পড়েছ(উপন্যাসে) অথবা দেখেছ(চলচিত্রে)।

৪। প্রতিটি দৃশ্যের উত্তেজনা নিয়ন্তণ কর

কোন উপন্যাসই উচ্চ মাত্রার উত্তেজনা যুক্ত দৃশ্য দুইটির বেশি হ্যান্ডেল করতে পারে না। কিন্তু, একটি উপন্যাস অনেক হালকা মনে হবে, যদি এতে খুব কম উত্তেজনা যুক্ত দৃশ্য থাকে। এর সমধান হল, প্রতি টি দৃশ্যে নায়ককে একটি করে লক্ষ্য প্রধান করা, এবং সেটি অর্জন করা কত টা কঠিন, তা নির্ভর করবে উত্তেজনা কত টুকু হবে। এটা করতে “দেখাও এবং বল” ব্যাবহার কর: যত বেশি একটি চরিত্রের অ্যাকশান ও আবেগ দেখানো হবে, উত্তেজনাও তত টা বাড়তে থাকবে। যেহেতু, দৃশ্যের গতিময়তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই যদি উত্তেজনা খুব বেড়ে যায়, কিন্তু সেট সঠিক সময় না হয়, তাহলে “বল” ব্যাবহার কর আঁচ কমানোর জন্য। এভাবে, নায়ক কি করছে, পাঠক সবসময় তার প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকবে, কিন্তু অবিরাম অ্যাকশান থেকে ক্লান্ত হবে না।

৫। সাবপ্লট ও সাদৃশ্য প্লট দিয়ে মসলাদার করে ফেল

তোমার উপন্যাসে একাধিক সাবপ্লট যুক্ত কর, এবং নিশ্চিত কর যে কমপক্ষে একটা বা দুইটা মূল প্লটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়। এটা নায়কের চরিত্রের সবথেকে সাধারণ উদাহরণ। যদি উপন্যাসের শেষের দিকে নায়ক তার অন্তরাত্মাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন না করে, তাহলে পাঠকরা নিরাশ হয়ে যাবেন। তোমার চরিত্র গুলোকে কিছু রহস্য প্রদান কর, এবং সেগুলোর উন্মোচন সাবপ্লট হয়ে উঠতে পারে। আরেকটি উপয়ায় হল একটি দ্বিতীয় সাদৃশ্য প্লট তৈরি করা। আজকাল অনেক উপন্যাসই একাধিক রীতির অন্তর্ভুক্ত হয়, শুধুমাত্র দুইটি সাদৃশ্য প্লট রাখার জন্য। উদাহরণ হিসেবে, একটি ভাল সায়েন্স-ফিকশনের উপন্যাস কে রোমান্সের উপন্যাস হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে – প্রধান চরিত্র ও তার ভালবাসার মানুষের মাঝে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, শুধুমাত্র এর কারণেই। সাদৃশ্য প্লট একে অপরের উপর নির্ভরশীল হতে হবে – পাঠকে এটা দেখাতে হবে যে, যদি দ্বিতীয় প্লট বাদ দেওয়া হয়, তাহলে প্রথমটার ফলাফল অনেক আলাদা হবে।

Image credit: David Goehring on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As a 22-year-old art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]