প্রথমে এবং সর্বাগ্রে: ইয়াং অ্যাডাল্ট কোন জনরা নয়। অনেক লেখ্রাই এটা বিশ্বাস করে থাকে, কিন্তু, শুধু ইয়াং অ্যাডাল্টদের জন্য, কথাটা তোমার পাঠকদের বয়স নির্ধারণ করে। তবে, এর মানে এই না যে ইয়াং অ্যাডাল্ট উপন্যাস শুধু একটি নির্দিষ্ট টার্গেটেড দর্শকদের জন্যই গঠন করা হয়ে থাকে – আসলে, অনেক গুলোই ইয়াং অ্যাডাল্ট উপন্যাস আছে যা টিনএজ ও অ্যাডাল্ট, উভয়ের দ্বারাই পাঠীত হয়ে থাকে। আর এই কারণের আমরা, কিভাবে একটি উপন্যাস লিখতে হবে যা টিনএজ ও অ্যাডাল্ট উভয়কেই আকর্ষণ করবে, তার উপর কিছু টিপস যোগাড় করেছি।
১। চরিত্রসূমহ
প্রধান চরিত্রকে একজন টিনএজার হতে হবে – তা না হলে, তোমার বইকে ইয়াং অ্যাডাল্ট হিসেবে লেবেল করা হবে না, যা না বললেও চলে। কিন্তু, তোমার প্রোটাগনিস্ট এবং অন্যান্য চরিত্র(টিনএজ বা অ্যাডাল্ট) গুলোকে ভাল করে তৈরি হতে হবে, যেন তুমি একটা অ্যাডাল্ট বই লিখছ। টিনএজারদের তাদের নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট রয়েছে, যা একটি অ্যাডাল্টের তুলনায় বেশি পরিবর্তনশীল, এবং এর মানে হল, তুমি যে ধরনেরই গল্প লিখো না কেন(রোম্যান্স, দিস্টোপিয়া, প্যারানরমাল, ফ্যান্টাসি, বা সায়েন্স ফিকশান), তোমার প্রোটাগনিস্টের এমন চরিত্রিক কাঠামো হবে, যা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হবে, এবং নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু জানবে, এই প্রোসেসএ।
২। দৃষ্টিকোণ
গল্পটা প্রথম বক্তার দৃষ্টিকোণ থেকেই বলতে হবে এমন কিছু নেই, তবে বেশি ভাগ ইয়াং অ্যাডাল্ট বইগুলো এমন হয়ে থাকে। কিন্তু, যদিও তুমি তৃতীয় বক্তা হিসেবে গল্পটি লিখছ এবং একের অধিক চরিত্রকে অনুসরণ করছ(একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে), তাদেরকে তাও কিন্তু টিনএজার হতে হবে। তোমাকে তাদের জন্য সঠিক স্বর খুঁজে বের করতে হবে, তাদের ভেতরের চিন্তাগুলো এবং তাদের ব্যাবহার এমন ভাবে দেখাতে হবে, তারা তাদের বয়স অনুযায়ী ম্যাচুয়র হলেও, তারা যেন টিনএজারই থাকে। তাই, প্রোটাগনিস্টের প্রায়ই স্কুল, ভবিষৎ নিয়ে চিন্তা হবে, অথবা তারা যদি স্কুল না যায়, তাহলে তার জন্য কোন নির্দিষ্ট কারণ থাকতে হবে, যা তাদের মাঝে স্কুল মিস করার অনুভূতি জাগাবে(অনুশোচনা, বা সুখ)।
৩। ধর্মপ্রচার
ধর্মপ্রচার ও দুনিয়া সম্পর্কে তোমার মতামত, তোমার পাঠকদের সাথে শেয়ার করা কখনোই একটি ভাল বুদ্ধি নয়, বিশেষ করে ফিকশানে তো একদমই না। পাঠকরা একটি মুক্তি খুঁজছে, বস্তবতার রিমাইন্ডার চাঁচ্ছে না। তবে, এটা ইয়াং অ্যাডাল্ট বইয়ের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য – কারণ, তোমার দর্শকের মূল অংসই হল টিনএজার, এবং টিনএজাররা খুব সহজেই তোমার বইয়ে ধর্মপ্রচার বের করে ফেলবে, এবং তোমার বই পড়ে শেষ নাও করতে পারে, অথবা, তোমার লেখা অন্য কোন বই বেঁছে নিতে পারে। হ্যাঁ, তোমার কিছু মতামত তোমার লেখনীতে চলে আসবেই, এবং সেটা ঠিক আছে, কিন্তু, তোমার চরিত্রগুলোকেও যে দুনিয়া সম্পর্কে তোমার মতই দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে, তার কোন প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে টিনএজারদের। টিনএজাররা অনেক সময় তাদের জগৎ-এ এমন ভাবেই ডুবে যায় যে, তারা অনেক সময়, বাঁকি দুনিয়ার দিয়ে একজন অ্যাডাল্ট হিসেবে মনযোগই প্রদান করে না।
৪। টপিকটি
যখন তুমি তোমার বইয়ে বিভিন্ন টপিক ও সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাইবে, তোমাকে খুবি সতর্ক থাকতে হবে। যদিও তুমি তুমার বইয়ে যৌনতা, সমকামিতা, রেপ, এবং ড্রাগসও নিয়ে লিখতে পারো, তবুও তোমার এসব বিষয় একটির বেশি ব্যাবহার করা ঠিক নয়, কারণ তোমার পাঠকদের মনে হতে পারে এটা খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, যখন তুমি স্কুল সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বলবে, যেমনঃ অনিরাপদ অনুভব করার জন্য বুলিইং – একজন টিনএজ দর্শক খুব সহজেই তার সাথে রিলেট করতে পারবে, তাই তুমি তোমার পাঠকদের বিহ্বল না করেই, ঐ সমস্যা গুলোর অনেক ভ্যারাইটি এক্সপ্লোর করতে পারো।
৫। সমাপ্তি
বইয়ের শেষের দিকে, যেখানে প্রোটাগনিস্ট একজন টিনএজার, চান্স হল, তারা খুব বেশি বেড়ে উঠবে না, বয়স অনুযায়ী, বিশেষ করে যদি বইটীর ঘটনা গুলো একটি স্কুল বর্ষ চলাকালীন হয়ে থাকে। প্রায় সময়ই, প্রোটাগনিস্ট সফল ভাবে তার যাত্রা পূর্ণ করে ফেলে, এবং শেষটির একটি আশাজনক ভবিষৎ থাকে। প্রায়ই, অ্যাডাল্ট উপন্যাস পাঠকদের দুখি করে দেয়, বিশেষকরে, যদি উপন্যাসটির একটি দুঃখজনক সমাপ্তি ঘটে। ইয়াং অ্যাডাল্ট উপন্যাসে, পাঠকদের সেই আশা অনুভব করতে হবে, যা প্রোটাগনিস্ট তার ভবিষৎ নিয়ে অনুভব করে, সেই আশা যা এই উপলব্ধি থেকে আসে যে, তারা যেকোন কিছু করতে বা হতে পারে যা তারা ইচ্ছা কররে, যতখোণ পর্যন্ত তারা আসলেই সেটা চাইবে এবং নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখবে। ইয়াং অ্যাডাল্ট দুঃখজনক সমাপ্তির জায়গা না, বা একদমই সুখকর সমাপ্তিরও জায়গা নয়, কারণ টিনএজাররা এখনো, এক ভাবে, শিশুই, এবং তাদের যাত্রা এবং চরিত্রের গঠনের প্রায়ই আশাজনক সমাপ্তি ঘটবে, দুঃখজনক সমাপ্তির পরিবর্তে।
Image credit: Richard Leeming on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]