লেখা একটি শিল্প; লেখক একজন শিল্পী। সকল শিল্পী নিঃসঙ্গ হয়ে থাকে, অন্তত তারা তাদের কাজের সময় একাকী থাকে। এর দুইটি সুবিধা রয়েছে। এক, এটি তাদেরকে কাজে মনযোগ দিতে সাহায্য করে। দুই, মনোযোগহরণ মুক্ত পরিবেশ সৃজনশীল চিন্তার জন্ম দেয়। লেখক ও তাদের কাজের ধরণের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। একজন লেখককে প্রতিদিন নানা বিষয়ে কাজ করতে হয়, নানা প্রসঙ্গে গবেষণা করতে হয়। ফলস্বরূপ, আরো বেশি কঠিন কাজ এসে উপস্থিত হয় এবং দীর্ঘ সময়জুরে নীরব পরিবেশে শুধু নিজের চিন্তার সাথে কাঁটাতে হয়।
স্বাস্থ্যকর ডোজ
প্রত্যকেরই উচিত নিজেকে ভালবাসা। এটি ইতিবাচক মনোভাব এবং সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু, যেকোন ব্যাক্তি যে এতটা সময় নিজের সাথে কাটায়, সে নিজ সত্তাকেই ভালবেসে ফেলতে পারে। এখানেই “Ego” কাজ করে। “Ego” একটি ল্যাটিন শব্দ যার মানে “I(আমি)”। যখন তুমি “I(আমি)” –র সম্পর্কে ভাবতে থাকো, নিজের যেকোন কর্মের জন্য নিজেকে ভালবাসতে লাগো, তখন তোমার ইগো তোমাকে চালাতে সুরু করে দিয়ে দিয়েছে।
একজন লেখক হিসেবে, ইগো তোমার উপরে ইতি ও নেতি, উভয় রকম প্রভাব ফেলতে পারে। স্থিক পরিমান ইগো প্রয়োজনীয় যখন তোমাকে :
- ক্রমাগত প্রত্যাখ্যানের সময় আত্তবিশ্বসী থাকতে হয়।
- পরবর্তী বড় প্রকল্প পেতে বাজারজাত করতে হয়।
তোমার ইগো নিয়ন্ত্রনে রাখো
এছাড়াও তোমাকে তোমার ইগো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, অথবা সতর্ক হয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে এটি তোমার কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না। যদি তুমি কোন লক্ষণ দেখতে পাও তাহলে তোমাকে সতর্ক হতে হবে যে তোমার লেখক ইগো তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তোমাকে এটি দমন করতে পদক্ষেপ নিতে হবে:
- তুমি মনে কর তুমি সবকিছু জানো।
- তুমি মনে কর তুমি প্রথম বারেই সকল বিবরণি বুঝে ফেলেছ।
- তুমি গবেষণার সময় কমিয়ে দেও।
- তুমি কম সংশধন ও সংস্করণ কর।
আরো একটি পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে তোমার ইগোর আরো বেশি স্ফীতি ঘটতে শুরু করে এবং তুমি মরে কর যে তুমি নিজেকে যেভাবে উপলব্ধি করছ তাই সঠিক। একজন লেখক হিসেবে তুমি তোমার কাজে অনেক শ্রম ব্যায় কর। অনেকটা একটি গাছের মত, তুমি অনেক সময় নিয়ে বেড়ে উঠো এবং এমন অংশ তৈরি কর, যা সবাই সমাদর করে। সকল লেখকদের মত তুমিও নাম ও খ্যাতি চাউ। কাজেই, যখন এটি তোমার কাছে আসে, তখন তোমার আত্মসম্মান আত্মগুরুত্বে পরিণত হতে পারে, তোমার আত্মবিশ্বাস অতি-আত্মবিশ্বাসে পরিণত হতে পারে। এটি সকল লেখকের জন্য ঠিক নাও হতে পারে, কিন্তু যদি তুমি তোমার মাঝে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পাও তাহলে, তোমাকে সাথে সাথে সংশোধনী কাজক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল যা তোমার ইগো নিয়ন্ত্রণে রাখর জন্য:
- যখন তুমি লিখবা, লিখার প্রক্রিয়াটি ভালোবাসো। এটা ভেবো না যে শ্রমের ফল কেমন হবে বা হওয়া উচিত।
- যখন তুমি নাম ও খ্যাতি পাবে, তখন এটা ভেবে নম্র হও যে তুমি তোমার কাজের পেছনে অনেক শ্রম দিয়েছ এবং এই খাটুনি বজায় রাখতেই হবে।
- লেখ লেখার প্রতি ভালবাসা থেকে, অন্যদের প্রশংসা পাবার জন্য নয়।
- জ্ঞানের অন্বেষণ চালিয়ে যাও, এটি হোক না তোমার প্রবন্ধের উপর গবেষণা অথাবা কোন গুরুত্বপূর্ণ মুল্যায়ণের প্রতি কর্ণপাত।
সেই মুহূর্ত যখন তুমি অনুভব কর যে তুমি কোন কিছু পরিপূর্ণভাবে ভাবে লিখেছ, তখন একটু সময় নিয়ে আবার লেখনীতে ফিরে আসো। আবার পরে দেখ, দেখবে তুমি এমন কিছু পাবা যা তুমি আরো ভাল করতে পারো। এটা তোমার আত্মতুষ্ট ইগোকে বলবে পেছনে যাও এবং তোমাকে ভগবানের ভাল কাজ করতে দাও।
Image credit: Mark Stuckert on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/03/Shweta-Pic.jpg[/author_image] [author_info]Shweta Mishra is a freelance writer with over 13 years experience. You can visit her website https://aainfotech.in to get to know more about her writing.[/author_info] [/author]