সাসপেন্স ও ঔষধ এর সংমিশ্রণ খুবি শক্তিশালী হতে পারে, পাঠকদের গল্পের মাঝে টেনে নিতে পারে এবং গল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। একটি মেডিকাল থ্রিলার গল্পে পটভূমি সাধারণত হাসপাতাল হয়ে থাকে। প্রধান চরিত্র ঔষধ বিজ্ঞানে সুশিক্ষিত এবং এমন একটি রহস্য থাকে যা ঔষধের সাথে জরিত এবং যা সমাধান করতে প্রধান চরিত্রের সাহায্য প্রয়োজন। তবে, এগুল শুধু মৌলিক বিষয়বস্তু – মেডিকাল ত্থ্রিলার হতে হবে, শিরনামে যা বলা হয়েছে, কর্তৃত্বসম্পন্ন। নিচে, আমরা দেখালাম মেডিকেল থ্রিলারের আর কি কি বিষয়বস্তু প্রয়োজন।
১। গবেষণা
মেডিকাল থ্রিলার লিখতে তোমার মেডিকাল ডিগ্রি থাকতে হবে না, কিন্তু তোমাকে গবেষণা করতে হবে। যদি পটভূমি হাসপাতাল হয় তবে এমন কাওকে খুঁজে বের কর যে আসলেই একটি হাঁসপাতালে কাজ করে এবং জায়গাটার ভেতরেরে কাজকর্ম সম্পর্কে ভাল করে জেনে নেও। যদি প্রধান চরিত্র ডাক্তার বা নার্স হয়, তহলে কোন ডাক্তার বা নার্স এর সাক্ষাত্কার নেও, তাদের কাজের প্রতিটা খুঁটিনাটির ব্যাপারে। এছাড়াও, তোমার লিখণীতে চিকিৎসাবিদ্যা ভিত্তিক পদ ব্যাবহার করতে ভয় পেয় না – তবে বেশি ব্যাখ্যা দেওয়া থেকে বিরত থাকো। মনে রাখবে, তুমি একটি গল্প লিখছ, তোমার পাঠকদের পাঠদান করছ না।
২। নৈতিক প্রশ্ন
যে মেডিকাল সমস্যাকে(উধারণ হিসেবে, একটি রহস্যময় রোগ) কেন্দ্র করে তোমার থ্রিলার তৈরি, সেটা কি অনেক মানুষকে আক্রান্ত করে? এটা কি পুরো দুনিয়াকে আক্রান্ত করে? যদিও এটি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করলেও, সমাধান একটি নৈতিক প্রশ্নকে কেন্দ্র করে হতে হবে – প্রস্তাবিত সমাধান কি নৈতিক? একটি নৈতিক প্রশ্ন তোমার গল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে, এবং গল্পটি শুধু একটি থ্রিলারের থাকে অনেক বেশি কিছুতে পরিণত হবে। এই নৈতিক উভয়সঙ্কট তোমার চরিত্রগুলোর অভ্যন্তরীণ অশান্তিতে যুক্ত হবে, সংঘর্ষ যুক্ত করবে এবং সঠিক ও সহজ সমাধানের মধ্যের ব্যবধান বাড়িয়ে দিবে।
৩। অভিনবত্ব
তোমাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল নতুন তাত্ত্বিক সম্ভাবনা ও বিরাট সাফল্য-অর্জনের উপরে থাকতে হবে। এখানেই গল্প নির্ভর করে, গল্প যা হবে ভিন্ন ধরণের, পূর্বে অজানা অঞ্চল অন্বেষণ করবে। যখন মেডিকাল থ্রিলারের প্রসঙ্গ আসে, কত কিছু আছে যা আগে থেকেই করা হয়ে গিয়েছে, যে তা অনেকটা গতানুগতিক মনে হতে পারে। অবশ্যই, দুইটি গল্প যা একই মেডিকাল রহস্যকে কেন্দ্র করে, তা সম্পাদনা ও নৈতিক উভয়সঙ্কটে ভিন্ন হবে; তবে তাদের মাঝে খুব বেশি মিল থাকা উচিত হবে না।
৪। অ্যাকশান
যখন কোন বই একটি মেডিকাল রহস্যকে কেন্দ্র করে থাকে, এতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যাকশানের অভাব থাকতে পারে – তবে শেষের দিকের অংশ বাদ দিয়ে। একটি ভাল থ্রিলারে ক্রমাগত অ্যাকশান থাকে যা গল্পকে সামনে এগিয়া নিয়ে যায়। পটভূমিটি একটি হাঁসপাতাল মানে এই না যে, অ্যাকশান কম হওয়া উচিত, অথবা কোন অ্যাকশান থাবেই না। মনে রাখবে, প্রধান চরিত্র বা তার কাছের কেও বিপদে পরে, সেটি পাঠকদের জন্য থ্রিলারের আরেকটি স্তর যোগ করে। অবশ্যই, অ্যাকশান আনার জন্য অ্যাকশান দৃশ্যপট লিখা নিয়ে তোমাকে সতর্ক থাকতে হবে – সেগুল গল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
৫। চরিত্র সুমূহ
এগুল কোন কিছুই ম্যাটার করবে না যদি চরিত্রগুলো একমাত্রিক হয় ও সহজে সহমর্মি হওয়া না যায়। তোমার চরিত্রগুলোর বিভিন্ন বৈশিষ্ট লাগবে যা পাঠকরা গল্প আগানর সাথে সাথে অনুসন্ধান করবে। তাদের এমন ভাবে বানাতে হুবে যেন তাদের সাথে পাঠকরা সহজে সংযোগ স্থাপন করতে পারে – এবং তা দৃঢপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যদি একটি প্রিয় চরিত্র মারা যায়, পাঠকদের দুঃখের একটা অনুভূতি পেতে হবে, এবং যখন তারা কোন কিছু অর্জন করবে, পাঠরা তাদের জন্য আনন্দের উল্লাস করবে।
খারাপ মানুষ, শত্রু ও তার সাথীদের কথা ভুলে যেও না। তারা যা করছে তার জন্য তাদেরও কারণ প্রয়োজন। কেউ এমন শত্রুকে বিশ্বাস করবে না, যে শুধু খারাপ হবার জন্য খারাপ কাজ করে। তারা যা করে তার কারণ হল জীবন তাদের প্রতি অনেক নিষ্ঠুর ছিল – অথবা তাদের প্রধান চরিত্রের কাছে থেকে কিছু লাভ করার আছে এবং বিশ্বাস করে যে, বল-ই হল একমাত্র মাধ্যম তা অর্জন করার, সম্ভাবনা এবং উদ্দেশ্য হল সীমাহীন, এবং এটা চরিত্রগুলো ও গল্পকে বিশ্বাসযোগ্যতা দান করবে।
Image credit: Fryderyk Supinski on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]