তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্ট নিয়ে যে সমস্যা হয় তা হল প্রায় সময়ই তারা খুব বেশিই ম্যাচুয়র হয়ে যায় – এতটাই যে মনে হয় একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তাদের মাঝে অবস্থান করছে। আবার আরেকটা দিকও রয়েছে, যেখানে তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্টরা নিস্তেজ, আত্মকেন্দ্রিক হয় এবং মনে হয় যে তারা শুধু নিজেদের বা শুধু তাদের ভালবাসার মানুষেরই কেয়ার করে। যা প্রয়োজন তা হল একজন সুষম: প্রোটাগনিস্ট যে ম্যাচুয়র, কিন্তু তরুণ, যার সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ড পাঠকদের এটা উপলব্ধি করাবে যে তারা একটি বাস্তবিক গল্প পড়ছে। আর একানেই ব্যাকস্টোরি কাজে আসে, বিশেষ করে যখন বিষয়টা তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্টের ব্যাপারে হয়। তাদের ব্যাবহার, দুইনিয়ার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী, এবং তাদের কর্মকান্ডের ভিত্তি হবে তাদের ব্যাকস্টোরি, তাদের লালনপালন ও তাদের অভিজ্ঞতাগুলোও। এবং নিচে, আমারা কিছু টিপস যোগার করেছি কিভাবে তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্টের চরিত্র লিখতে হয় যা হবে অসাধারণ ও বাস্তবিক।
১। তাদের লালনপালন
মৃত বা অন্যদেশে কর্মরত বাবা-মার কথা ভুলে যাও, যদিনা তা গল্পের প্লটের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। অন্যথায়, এটা শুধু এই কারণ হিসেবেই কাজ করবে যে কিভাবে প্রোটাগনিস্ট এরকম ম্যাচুয়র হতে উঠল, কারণ সে এই দুনিয়াতে খাপ-খেয়ে উঠেছে যত্নশীল বাবা-মার নির্দেশনা ছাড়া। কিন্তু, তরুণ অ্যাডাল্টরাও ম্যাচুয়র হতে পারে, যদিওনা তারা একটি যত্নশীল পরিবার থেকে এসে থাকে, যেখানে বাবা-মা সবসময়ই উপস্থিত। এটা বিশেষভাবে সত্য, যদি তোমার তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্টের তার পরিবারের সাথে একটি ওপেন ও বন্ধুসুলভ সম্পর্ক থাকে, যা তাদের সাপোর্ট প্রদান করবে, এবং প্রায়ই তাদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবার সাহস যোগাবে, যা এমনিতে তাদের কাছে অনেক বড় কিছু বলে মনে হত।
২। তাদের অভিজ্ঞতা
আমারা প্রায় সময়ই পড়ুয়া প্রোটাগনিস্ট দেখতে পাই যার প্রায় কখনোই কোন বন্ধু ছিল না, কিন্তু হঠাৎ করেই সে অনেক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কমেন্ট প্রদান করে এবং অনেক ভাব প্রদর্শন করে। অথবা, তারা একদমই নীরব হয়, এবং যা দ্বারা তাদের আত্মসচেতন বঝানো হয় এবং তাদের খুব বেশী আত্মসম্মান থাকে না। কেঁউই শূন্য আত্মসম্মান নিয়ে শুরু করে না, এবং কেঁউই আত্মবিশ্বাসী হয়ে জন্মে না। এটা হল আমাদের অভিজ্ঞতা যা আমাদের এমন করে তুলে – একটি চরিত্রের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। যদি তারা আত্মসচেতন হয়, তবে বর্ণনা কর কেন, তবে শুধু এই কারণেই নয় যে তারা বাইরে যেত না এবং তাদের সময় বই পরে কাটাত। তোমার প্রোটাগনিস্ট একেবারে ১৭ বছরের হয়ে জন্মেনি, তা হবার আগে তারা একটি সময় পার করে এসেছে, এবং তোমার কাজ হল এটা নিশ্চিত করা যে তাদের সেই সকল অভিজ্ঞতাগুলো হয়েছে, যা তাদেরকে গল্পের বর্তমান এই অবস্থায় এনেছে।
৩। তাদের স্বপ্নগুলো
প্রোটাগনিস্টের স্বপ্নগুলোই হল সেই জিনিস যা তাদের তরুণ অ্যাডাল্ট করে তুলবে, একই সাথে তাদের ব্যাবহারও। তারা কি অনেক বড় কিছুর স্বপ্ন দেখে, কিন্তু সেটা প্রকার করতে ভয় পায়, কারণ মনের গভীরে তারা এটা বিশ্বাস করে যে তাদের স্বপ্ন অসম্ভব? অথবা, তারা কি ছোট কিছু পাওয়ার ইচ্ছা করে কারণ তারা বড় স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর চরিত্রগুলোর কিছু নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, এবং সেগুলো এক সময় প্রোটাগনিস্টে পরিণত হবে। উদাহরণ হিসেবে, একজন প্রোটাগনিস্ট কখনই তার স্বপ্ন ছেড়ে দিবে না যা যত টাই কঠিন হোক না কেন, যদিও সে তার সম্পর্কে কাউকেও বলে না থাকে। কিন্তু তোমার চরিত্র যদি সব সময় আত্মকরুণায় কাদতে থাকে, তাদের স্বপ্ন কখনই সত্য হবে না এই কারণে, তাহলে, তাদেরকে তা গল্পের যাত্রার মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে।
৪। তাদের লক্ষ্য
প্রত্যেক প্রোটাগনিস্টের একটি লক্ষ্য থাকে, এবং ছোট লক্ষ্যগুলোও গল্পের যাত্রা নির্ধারণ করা করে। একজন অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্ট ও একজন তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্টের লক্ষ্যের মাঝে পার্থক্য রয়েছে – এবং তরুণ অ্যাডাল্ট প্রোটাগনিস্ট যদি একটি কল্পনার জগৎ-এ বাস না করে থাকে, তাহলে তাদের জীবন পরিবার, বন্ধু, স্কুল এবং তাদের ভবিষ্যৎ কেই কেন্দ্র করে থাকবে। তোমাকে এটা গল্পের মাঝে সংযুক্ত করতে হবে, কারণ এটা প্রোটাগনিস্ট যে দুনিয়ায় থাকে তা গড়েতুলতে সাহায্য করে, এবং ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র গভির করে তুলে।
৫। তাদের অ্যাকশানস ও ব্যক্তিত্ব
প্রোটাগনিস্টটি, যা আগেই বলা হয়েছে, একইসাথে গল্পটিও তৈরি করে, এবং তার মানে তাদের কর্মকান্ড গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিভিন্ন জিনিস তোমার প্রোটাগনিস্টের হওয়ার পরিবর্তে, তোমার প্রোটাগনিস্টকে বিভিন্ন জিনিস ঘটাতে হবে। এর মানে হল, তোমার প্রোটাগনিস্টকে এমন কিছু অ্যাকশান নিতে হবে যা তাদের বয়স, ব্যক্তিত্ব ও পটভূমির জন্য উপযুক্ত; অন্যথায়, তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কিন্তু, শুধু মাত্র এটি প্লটকে সমর্থন করে বলেই তাদেরকে দিয়ে খুব বেশি ভুল করানো যাবে না, এটা করলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এছাড়াও, তাদের কর্মকান্ড সব সময়ই ঠিক হতে পারে না, একইসাথে সাথে তদের যাই করুক না কেন তার সব কিছুই নির্ভুল হওয়া যাবে না। যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, তারা যেন সব সময়ই তাদের সেরা কারার চেষ্টা করে।
Image credit: Pixabay [author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic. As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]