কথাসাহিত্য, সে যে রকমই হক না কেন, তা পাঠক বা দর্শককে একটা যাত্রায় নিয়ে যায়, যেখানে তারা সে সব কিছু অনুভব করতে চায়, যা গল্পের চরিত্রগুলো মুখমুখি হয়। পাঠকরা গল্পটি দ্বারা স্পর্শীত, পরিচালিত, এবং প্রভাবিত হতে চায়। লেখক হিসেবে, আমরা চাই এই যাত্রাটাকে পাঠকের কাছে যতটা সম্ভব ততটা বাস্তব করে তুলতে। এটা করার একটা পদ্ধতি হল লেখনীতে একটা আবেগময় ভাব সৃষ্টি করা যা পাঠকদের দুঃখিত, সুখি বা ভীতও অনুভব করাবে। তবে এটা বলার চেয়ে করা অনেক কঠিন। অনেক লেখকই মর্মঘাতী বিষয় নিয়ে উপন্যাস লিখে, তবে পাঠকরা চরিত্রগুলোর সাথে খুব বেশি অনুরক্ত বোধ করে না, কারণ তারা চরিত্র গুলোর মধ্যে সেই মর্মঘাতী অভিজ্ঞতা অনুভব করে নি, বরং তাদের এটা মনে হয়েছে যে, তারা শুধু যা ঘটেছে তার একটা প্রতিবেদন পড়ছে। সম্পাদনাই হল চাবিকাঠি, এবং এটা পাবার জন্য তোমাকে বেশ কিছু জিনিস তৈরি করতে হবে।
১। সহানুভূতিশীল চরিত্র তৈরি কর
না, তয়াম্র চরিত্র গুলোকে নিপীড়িত প্রান হতে হবে না, যারা তাদের জীবনে অনেক খারাপ জিনিসের সুম্মখিন হয়েছে। তারা যেকোন কেঁউ হতে পারে। কিন্তু, তাদেরকে তোমাকে এমন ভাবে বানাতে হবে যেন পাঠকরা তাদের সাথে সহজে সংযোগ স্থাপন করতে পারে, অথবা তাদের বুঝতে পারে এবং তাদেরকে বিচারশক্তিসম্পন্ন সত্তা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। চরিত্র গুলোকে পাঠকের কাছে আসল মনে হতে হবে, চরিত্রদের সাথে কি হচ্ছে তা নিয়ে তাদের কেয়ার করাতে হবে। পাঠক ও চরিত্রদের মাধে একটা শক্তিশালী বন্ধন যা একটি বড় আবেগময় ভাব সৃষ্টি করবে।
২। একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি কর
চরিত্র গুলোকে এমন অবস্থায় ফেল যা গুরুত্বপূর্ণ, অত্যাবশ্যক, এবং জীবন বদলে দেওয়ার মতও হতে পারে। অবস্থাটা ধাপে ধাপে তৈরি কর, সেটা হতে পারে চরিত্রের কোন ভুল সিদ্ধান্ত থেকে, অথবা বাহিরের কোন কিছু থেকে যার উপর তাদের কোন নিয়ন্তণ নেই। উভইয়ী চরিত্রের( এবং পাঠকের) উপর প্রভাব ফেলবে। যখন অবস্থাটি চরিত্রের নিজ কর্মকাণ্ডের ফলাফল হবে, তখন তা স্বাভাবিক ভাবেই অনুশোচনা, স্ব-অপরাধবোধ এবং আত্মবিধ্বংসী প্রবণতায় পরিণত হবে। যখন অবস্থাটি বাইরের শক্তি দ্বারা চালিত হবে, যার উপর চরিত্রের কোন নিয়ন্তণ থাকবে না, তখন তা পাঠকের মনে সহানুভূতি সৃষ্টি করবে, তাদেরকে চরিত্র গুলোর জন্য উদ্বিগ্ন করাবে ও তাদের সফলতার জন্য অপেক্ষা করাবে।
৩। একটি খারাপ বনাম আরো খারাপ চয়েস সৃষ্টি কর
তোমার চরিত্র গুলোকে অসম্ভব অবস্থায় ফেলতে ভয় কর না। চয়েসটি যে চরিত্রটিকে অনেক কঠিন কোন অবস্থায় ফেলে দিবে তা জরুরী নয়। যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল চয়েসটির প্রতি তোমার চরিত্রের মনোভাব ও তার উপলব্ধি। এছাড়া, চরিত্রের বৈশিষ্ট , নীতি, প্রয়োজন ও দরকার ব্যাবহার কর যা এটা দেখাবে কেন তারা সেই সিদ্ধান্তটি নিচ্ছে এবং কেন তারা সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য।
৪। একটি বিস্ময় তৈরি কর
একটা ভাল প্লট টুইস্ট যা পাঠক এবং গল্পের চরিত্রকে বিস্মিত করে, তা আবেগপূর্ণ প্রবাভ সৃষ্টি করার চাবিকাঠি, বিশেষ করে যদি সেটা ঘটে কোন জীবন-মণর অবস্থায়। তবে, সতর্ক থাকবে তুমি কিভাবে তা সম্পাদন করছ। টুইস্টটি আগে থেকেই কিছুটা অপেক্ষিত হতে হবে, কিন্তু একটু ভিন্ন ভাবে, যেন তা একটি বিস্ময়ে পরিণত হয়, কিন্তু তার প্রয়োজন রয়েছে বলেই যে তা হতে হবে, এমন হওয়া উচিত নয়। তাহলে তা হয়ত পাঠকদের চরিত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল না করে, প্রতারিত ও ম্যানিপুলেটেড বোধ করাতে পারে।
৫। আবেগের মাধ্যমে অ্যাকশান তৈরি কর
তোমার চরিত্র গুলো কেমন বোধ করছে তা কখনই তোমার পাঠকদের বলতে যাবে না। চরিত্রের আবেগ গুলো তার কাজের মাধ্যমে প্রকাশ কর। তাদের আবেগ ব্যাবহার করে গল্প এগিয়ে নিয়ে যাও, তোমার চরিত্র গুলোকে তাদের আবেগের উপর কাজ করানোর মাধ্যমে। পাঠকরা চরিত্রগুলোর আবেগের উপর প্রতিবেদন চায় না। তারা তা চরিত্রে মাধ্যমে নিজে নিজে উপলব্ধি করতে চায়। এমন শব্দ ও বাক্য ব্যাবহার কর যা এমন সিন তৈরি করবে। যা পাঠকের সকল ইন্দ্রিয়কে স্পর্শ করবে, যা মঝে শ্রবণ, স্পর্শ ও দৃষ্টি থাকবে, যা চরিত্রকে তার উপযুক্ত পটভূমিতে পোঁছে দিবে, এবং এটি আরো বেশি ব্যাবহার কর চরিত্রের আবেগ প্রকাশ করার জন্য।
Image credit: Peter Dutton on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As a 22-year-old art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]