সঠিক মানুষ, প্রকাশক এবং সম্ভাব্য পাঠকদের কাছে পোঁছানো লেখকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা করার জন্য সামাজিক মিডিয়া একটি চমকপ্রদ মাধ্যম। তোমার নিজের সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থাকলে তা খুব সহজে ও দ্রুত মানুষদের সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করবে। সামাজিক মিডিয়া তোমার কথা কার্যকরী ভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। টুইটার একটি অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে তুমি মানুষের কাছে সংক্ষিপ্ত বার্তা ‘টুইট’ করতে পারো, বা এম্নিতেই পোস্ট করতে পারো। তুমি তথ্য শেয়ার করতে পারো এবং অন্যদের টুইটস থেকে জানতে পারো।
কিতু, সেটা করার আগে একটি যথাযথ টুইটার প্রোফাইল বানানো জরুরী। এটা ভেবো না যে তুমি তোমার নাম, পিকচার, ই-মেইল আইডি লাগিয়ে দিবে এবং মানুষ নিজে থেকে তোমার কাছে আসবে – না তারা আসবে না। টুইটার কে তোমার জন্য কাজ করাতে হলে, তোমাকেও এর জন্য কাজ করতে হবে। টুইটার এর জগৎ-এ তোমার কোন বন্ধু নেই, কিন্তু অনুসারী রয়েছে। এবং এই অনুসারীর মাধ্যমেই তোমাকে সঠিক মানুষয়ের কাছে পৌঁছতে হবে। তার জন্য তোমাকে কিছু কাজ করতে হবে। আমি তোমাকে সাহায্য করব ৫টি নিশ্চিত উপায় বলে, যা তোমাকে আরো বেশি টুইটার অনুসারী এনে দিবে, অনুসারী যারা আসলেই ম্যাটার করে।
প্রোফাইল
তোমার টুইটার হ্যানডেলে কিছু হিন্ট প্রদান কর। তুমি কি কর তার কিছু কি-ওয়ার্ড সংযুক্ত কর। নিশ্চিত কর যে তোমার প্রোফাইল পিকচার হিসেবে তোমার নিজের মুখের সুম্মুখভাগের একটি ভাল আলোকময় ফটোগ্রাফ ব্যাবহার করেছ। একটি ভাল বইয়ো লিখো। এটা ছোট কিন্তু সহজবোধ্য করে রাখো। টুইটার এখন তোমার হেডার ইমেজ কাস্টমাইজ করতে দেয়। নিশ্চিত কর যে সেটা এমন কিছু যা তোমাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে ও তোমার পেশাকে সাপোর্ট করে।
মানুষের সাথে সংযুক্ত হও
প্রভাবশালীরা হল সেই সকল ব্যাক্তি যাদের অনেক বড় সংখ্যক অনুসারী রয়েছে এবং যারা অন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনুসারণ করে। তারা ইতিমধ্যে টুইটারে নিজেদের একটি ভাল খ্যাতি তৈরী করেছে। যদি তুমি এই সকল প্রভাবশালীদের অনুসরণ কর, তাহলে তাদেরকে নিয়ে কিছু টুইট করা মাত্রই তুমি সাথে সাথে তাদের অনুসারীদের ব্যাবহার করতে পারবে। তোমাকে শুধু তোমার সুবিধা অনুযায়ী সঠিক প্রভাবশালীদের খুঁজে বের করতে হবে। তার জন্য নানা ধরণের টুল রয়েছে যেমনঃ লিটিল বার্ড, ফলোয়ারঅঙ্ক ইত্যাদি। এই টুলস গুলো তোমাকে তোমার প্রসঙ্গোচিত প্রভাবশালীদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবে, সেটা হতে পারে দক্ষতা বা কি-ওয়ার্ড দিক দিয়ে।
শেয়ার ও রিটুইট কর
টুইটার-এ তুমি রেজিস্টার হবার পর এটা গুরুত্বপূর্ণ যে তুমি তোমার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ রাখো। এবং তা, তুমি দিনে কি খেলে সে সকল নির্বোধ টুইটসের মাধ্যমে নয়। তোমাকে প্রাসঙ্গিক আর্টিকেল শেয়ার করতে হবে এবং অন্যদের টুইট রিটুইট করতে হবে। এর প্রতিদানে তুমিও মানুষের কাছে থেকে রিটুইট পাবে, যকন তুমি কিছু শেয়ার করবে। তুমি তোমার অনুসারীদের কাছে থেকে রিটুইট চাইতে পারো; তবে সেটা অপ্ল মাত্রায় কর – বেশী বেশী করে চেয়ো না।
তোমার ব্লগে যুক্ত কর
একজন লেখক হিসেবে, তোমাকে একটি অনলাইন ব্লগ বজায় রাখতে হবে। এটা সেই জায়গা যেখানে তুমি তোমার লেখনী শেয়ার করতে পারো। এটা অনেকটা তোমার টুইটার পোর্টফলিও(কিছুটা) হিসেবে কাজ করবে। যখনই তুমি তোমার ব্লগে নতুন কিছু পোস্ট করবা, সেটার লিঙ্ক টুইট করতে ভুলো না। তোমার প্রভাবশালীদের ট্যাগ করতে ভুলো না, বিশেষ করে ঐ পোস্ট গুলোতে। এছাড়াও, তুমি তোমার ব্লগে “ফলো মি” টুইটার বাটন লাগাতে পারো। এই ভাবে, মানুষ যারা আসলেই আগ্রহী এবং তোমার লেখা পড়ে, তারা তোমাকে টুইটার ফলোয়ার লিস্টে থাকবে।
হ্যাশট্যাগ ও কি-ওয়ার্ড
সতর্কতার সাথে হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার কর। আরো বেশি পরিমাণ মানুষের কাছে পৌছাতে হ্যাশট্যাগ জরুরী। প্রতিদিনী ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ চেক কর এবং তাদের সম্পর্কে কিছু টুইট কর। এছাড়াও, টুইটার এর কি-ওয়ার্ড রিসার্চ নামে একটা জিনিস আছে। প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড তোমার প্রোফাইলে লাগাও, যা তোমার প্রোফাইল কে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করবে। উদাহরণ হিসেবে, তুমি যদি ‘ইন্ডিয়া থেকে’ একজন ‘লেখক’ হও, তাহলে সেই কি-ওয়ার্ড গুলো তোমার প্রোফাইলে উল্লেখ কর।
Image credit: Garrett Heath on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2015/01/215888_10150217537488939_1231540_n.jpg[/author_image] [author_info]Abhinanda Banerjee is a full-time freelance writer and stage actor. She’s an avid reader, culinary enthusiast, and lover of everything about the sixties.
[/author_info] [/author]