কিছু লেখক তারদের উপন্যাসের জন্য গবেষণা করতে ভালবাসে, অন্যদিকে কিছু বাসে না। তবে, গবেষণা করা অপরিহার্য – তোমার উপন্যাস যথেষ্ট ভাল হবে না, পাঠকদের কাছে বাস্তব মনে হবে না, যদিনা তুমি পটভূমির তথ্য দেও তোমার চরিত্রের কাজের সম্পর্কে, তারা কিভাবে সেটা করে, এবং অনেকের কাছে তা ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো তোমার গল্পে ঐশ্বর্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়। কিন্তু, অনেক বেশী গবেষণা খারাপ – এবং এটা হয় যখন লেখকরা তাদের সকল গবেষণা অনেক পৃষ্ঠা, অধ্যায় ও অনুচ্ছেদে, অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে, এবং পাঠকদের এমন অনুভব করায় যেন, তারা কোন নির্দিষ্ট বিষের উপর পাঠ্যবই পরছে। এবং এই জন্যই, তুমি তোমার উপন্যাসের জন্য গবেষণা করার সময় অনেক কিছু বিষয় মাথায় রাখবে।
১। ভেবে নেও তোমার কি প্রয়োজন
প্রথম কাজ যা তুমি তোমার উপন্যাসের গবেষণা শুরু করার আগে করবে, তা হল ভেবে নিবে তুমি বিষয়টির সম্পর্কে কি জানো এবং কি জানো না। তুমি কি দেখেছ, কি শুনেছ, এবং যা জেনে বাস করে আসছ তা নিয়ে ভেবে নেও – কারণ, তোমার নিজ অভিজ্ঞতাই হল তথ্যের সেরা উৎস। তুমি আগে থেকেই যা জানো তা তোমাকে বিস্মিত করবে। তুমি হয়ত একটি উড়োজাহাজ উড়াতে নাও জানতে পারো, কিন্তু তুমি মনুষ্যত্ব, মানুষের আচরণ এবং কিভাবে এই দুনিয়া কাজ করে, সেটা সম্পর্কে জানো। এই জ্ঞানের উৎস ব্যবহার করে লিখা শুরু করা একটি ভাল পদ্ধতি হতে পারে কারণ, শব্দগুলো সহজেই তোমার মাথায় চলে আসবে। এছাড়াও, লেখালেখি করার কাজের অভিজ্ঞতার থেকে ভাল করে লেখালেখি করা কেও লিখাতে পারবে না; তুমি যা জানো তা নিয়ে লিখা একটি ভাল অনুশীলন হতে পারে। এবং পরবর্তীতে, তুমি যা নিয়ে গবেষণা করেছ তা নিয়ে লিখা, তুমি আগে থেকেই যা জানো তা নিয়ে লিখার মত সহজ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
২। লাইব্রেরী ব্যাবহার কর
যখন তুমি বুঝতে পারবে তোমাকে কি জানতে হবে, তখন লাইব্রেরী তোমার জন্য সবথেকে সেরা উৎস হয়ে উঠবে। লাইব্রেরিয়ানদের বন্ধু বানিয়ে ফেল, কারণ তারা তোমাকে সঠিক দিক দেখাতে পারবে, এবং বলতে পারবে তোমার কোন বই দরকার। লাইব্রেরিয়ানরা হল পেশাদার গবেষক এবং তাদের অনলাইন লাইব্রেরী, সাথে বই, খবরের কাগজ ও আরো অনেক কিছুর ব্যাপক অ্যাকসেস রয়েছে। এছাড়া, তারা তোমাকে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিতে পারে, এবং যদি না পারে, তাহলে এটা বলে দিতে পারবে যে তোমাকে কোঁথায় সে তথ্যের জন্য খোঁজ করতে হবে। এইভাবে, অজ্ঞাত হয়ে অন্ধকারে হুমড়ি খাওয়া ও উদ্বেল অনুভব না করে, তুমি দ্রুত ও ভালোভাবে তোমার গবেষণা চালাতে পারবে।
৩। বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বল
কিভাবে একজন বিমান-চালক হতে হবে, তা একজন বিমান-চালকের চেয়ে ভাল করে কেউ শিখাতে পারবে না। এটা অন্য যে কোন কাজ বা জায়গার জন্য একইভাবে সত্য। মানুষ নিজেদের ও নিজেরদের কাজের সম্পর্কে কথা বলতে ভালোবাসে। তুমি কাউকে তার কাজ বা এমন কোন জায়গা যেখানে সে থেকেছে, তার সম্পর্কে কথা বলাতে কোন সমস্যায় পড়বে না। কিন্তু, সতর্ক থাকবে কিভাবে তুমি তা জিজ্ঞাসা করছ। নিশ্চিত করো যে, তুমি যাদের সাথে কথা বলছ, তারা এটা জানে যে কি জন্য তোমার সে তথ্য দরকার এবং কিভাবে তা তুমি তোমার উপন্যাসে ব্যাবহার করবে। উদাহরণ হিসেবে, যদি তুমি এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে চাও যা তাদের সাথে ঘটেছে অথবা, যদি তুমি তার মত কিছু লিখতে চাও, তাহলে তাদের অনুমতি নিতে ভুলো না।
৪। ভ্রমণ কর
যদি তুমি পারো, চেষ্টা করবে তোমার উপন্যাসের পটভূমির জায়গাটায় ভ্রমণ করতে, কারণ কোন জায়গা নিয়ে গবেষণা করার সেরা উপায় হল ব্যক্তিগতভাবে সেথান থেকে ঘুরে আসা। সেখানে পৌঁছানোর পরে, তুমি তোমাকে তোমার চরিত্রে পরিণত কর এবং সবকিছু তাদের দৃষ্টিকোন থেকে বর্ণনা কর, মানুষ থেকে শুরু করে আবহাওয়া, বিশেষ জায়গা যা তোমার উপন্যাসে তারা ভ্রমণ করে, সবকিছু চিন্তা কর। জায়গাটা বর্ণনা করার সময় সকল প্যাঁচটি ইন্দ্রিয় ব্যাবহার করতে ভূলো না, দৃষ্টি থেকে শব্দ পর্যন্ত, একইসাথে ছোট ছোট বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল কর, এগুলো তোমার গল্পকে আরো বাস্তব করে তুলবে এবং পাঠকদের আরো সজাগ করবে ও তাদেরকে এমন অনুভব করাবে, যেন তারা আসলেই সেখানে উপস্থিত।
৫। ইন্টারনেট ব্যাবহার কর
বর্তমানে যুগে ইন্টারনেট কোন বিমত ছাড়াই তথ্যের সবচেয়ে বড় উৎস। তুমি তোমার ডেস্ক থেকে সব ধরণের গবেষণাই চালাতে পারো যেহেতু, সকল তথ্যই তোমার আঙ্গুলের মাথায় থাকবে। কিন্তু, ইন্টারনেট ব্যাবহার করার সমস্যা এই যে, তুমি যে তথ্য পাচ্ছো তা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে নাও হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে, এমন ওয়েবসাইট ও উৎস ব্যাবহার কর, যা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার, বা জাদুঘরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত। এছাড়াও, তথ্যটি পোস্টের তারিখ চেক কর এটা নিশ্চিত করার জন্য যে তা মান্ধাতার আমলের নয়।
Image credit: Neil Conway on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]