তোমার উপন্যাস সম্পর্কে পাঠকের প্রথম ইম্প্রেশন এই ধাঁরা অনুসরণ করে থাকেঃ প্রথম ইম্প্রেশন বইয়ের কভার ও শিরণাম থাকে আসে(এই দুটো একসাথে কাজ করে), তারপরের টা হল সংক্ষিপ্ত প্রচার বিজ্ঞাপনী, এবং অবশেষে লিখিত বস্তু। তোমার সৃষ্টি করা জগত ও চরিত্রের মাঝে পাঠকরা ডুবে যাওয়ার পূর্বে তাদেকে কমপক্ষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পৃষ্ঠা পড়তে হবে। ঐ পৃষ্ঠাগুলো শব্দ দিয়ে পূর্ণ, সাদা পৃষ্ঠার উপর কালো বর্ণ ছাড়া কিছু নয়। তবে, মাঝে মাঝে সে পৃষ্ঠাগুলোর ডিজাইন ও ফরম্যাটিং, তোমার লেখা শব্দগুলোকে পাঠকের কাছে অনেক আনন্দদায়ক করে দেয়। অন্য দিকে, পাঠকের হয়ত একটি ম্যাগনেফাইইং গ্লাসের দরকার হতে পারে এবং তার বদলে অন্য বই পড়ার কথা চিন্তা করতে পারেন। নিচে আমারা বেশ কিছু মূলমন্ত্র যোগাড় করেছি, যা তোমার বইকে অপটু ও উদ্ভট না দেখিয়ে প্রোফেসনাল দেখাবে।
১। ফন্টের মূলমন্ত্র
ফন্ট তোমার উপন্যাস ডিজাইন করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে একটি। যদি তুমি এমন ফন্ট ব্যাবহার কর যা সহজে পড়া যায় না, তাহলে তুমি প্রথম পৃষ্ঠাতেই তোমার পাঠকে হারিয়ে দেলতে পারো। ফন্ট সহজে দৃষ্টিগ্রাহ হতে হবে, পড়তে আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় দুইটাই হতে হবে, যেহেতু একটি উপন্যাসে একশতর চেয়েও বেশি পৃষ্ঠা থেকে থাকে। কিছু ফন্ট আছে যা সর্বসেরা প্রমাণিত হয়েছে, যেহেতু সেগুলো বইয়ে লিখার জন্যই তৈরি হয়েছে, যেমনঃ গ্যারামোন্ড এবং অন্য সে সকল ফন্ট যা বর্ণকে এমনভাবে কাছাকাছি রাখে যে তা সহজে চেনা যায়। এছাড়াও, তোমাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন ফন্ট কুব বড় বা ছোৎ না হয়, করণ তা পাঠকদের ক্লান্ত করে দিবে অথবা তোমার বই অনেক বড় প্রিন্টে পরিণত হবে এবং এতে প্রয়োজনের থেকে বেশি পৃষ্ঠা থাকবে।
২। মার্জিনের মূলমন্ত্র
তোমার বইয়ে মার্জিন এতটা জায়গা জুড়ে থাকতে হবে যেন পাঠকরা তা সহজে পড়তে পারে। যদি তা খুব কম হয়ে যায় তাহলে বইয়ের ভাজে চোলে যেতে পারে, এবং হয়তা তা পড়ার জন্য পাঠকদেরকে বইথেকে পৃষ্ঠা টেনে বের করতে হতে পারে। তোমার বইয়ের সাইজের উপর নির্ভর করে, তোমাকে এমন মার্জিন ব্যাবহার করতে হবে যা সব দিকে সমান জায়গা রাখবে এবং বেশি প্রসারিত হবে না, যা লাইনগুলো সহজে পাঠনযোগ্য করে তুলবে, এবং লিখার প্রবাহ ভাল রাখবে।
৩। অধ্যায়ের সূত্রপাত
অধ্যায়ের শুরুতে বিশেষ রকম ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদের নিখুঁত হবে হবে এবং এরা পাঠকদের নির্দেশ করবে যে, তারা গল্পের পরের অংশের দিকে যাচ্ছে। প্রথম অধ্যায়ের শুরু সবসময় ডান হাতের পৃষ্ঠাতে হতে হবে এবং বাকি সবগুলো একটি নতুন পৃষ্ঠাতে শুরু হতে হবে। তোমার বইয়ে অধ্যায়গুলোকে সব একসাথে লাগিয়ে দিয় না – তুমি এটা চাওনা যে তোমার পাঠকরা নতুন অধ্যায়ের শুরু মিস করুক এবং বিভ্রান্ত হয়ে যাক। এছাড়াও, তোমাকে প্রত্যেকবার “অধ্যায়” শব্দটি লিখতে হবে না, শুধু নাম্বার দিলেই হবে। কিন্তু, নিশ্চিত কর যে পেজের এক তৃতীয়াংশ অংশ থেকে লিখা শুরু করছ এবং প্রথম শব্দ বা বর্ণকে স্টাইলাইজড করলে তা এটাতে বিনোদনের ঝঙ্কার যোগ করে দিবে।
৪। প্যারাগ্রাফ সামঞ্জস্যপূর্ণ করা
প্যারাগ্রাফ সামঞ্জস্যপূর্ণ করা মানে হল, শব্দকে পাতার উভয় পাশে সারি দিয়া সাজান, শুধু হাতের বাম পাশে থেকে নয়, যা সকলেই করে আসছে, এবং যা ডান পাশকে অসমান ও খরখড়ে করে তুলে। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, প্যারাগ্রাফের ডান সাইড ক্রমাগত অসমান হয়ে থাকলে তা পাঠকের মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। অন্যদিকে, প্যারাগ্রাফ যা উভয় পাশে সমান, তা সহজে পাঠযোগ্য হবে। প্যারাগ্রাফের আরেকটি মূলমন্ত্র হল প্রথম লাইন ইন্ডেন্ট করা, যা পাঠকে যানিয়ে দিবে যে আরেকটি প্যারাগ্রাফ শুরু হয়েছে, কেঁউ কেঁউ তো আবার এটা বোঝানোর জন্য দুইটা প্যারাগ্রাফের মাঝে পুর এক লাইন ফাকা রেখে দেয়। তোমার জন্য যা ভাল কাজ করে, তা তোমাকে বেঁছে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে, যে তোমার বই শব্দের দীর্ঘ ব্লকের মত না দেখায়।
৫। প্রতীক, হেডার ও ফুটার
তোমার উপন্যাসের বিষয়ের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে, তুমি হেডার ও ফুটারে ইচ্ছামত প্রতীক ব্যাবহার করতে পারো। সেগুলো একটি স্টার, একটি বৃত্ত অথবা এমন বিশেষ চিহ্ন হতে পারে, যা তোমার বইয়ের বিষয়বস্তু প্রতিফলন করে। উদাহরণ হিসেবে, তুমি একটি চিহ্ন দ্বারা কোন দৃশ্যের ভাঙ্গন দেখাতে পারো। দৃশ্যের ভাঙ্গন একটি ফাকা লাইন দিয়ে দেখানোর চেয়ে একটি চিহ্ন দিয়ে দেখানো অনেক বেশি মজাদার, এবং এটি দৃশ্যের ভাঙ্গনটির উপরে আরো বেশি গুরুত্ব আরোপ করবে। এছাড়াও, কিছু উপন্যাসে তুমি হেডার ও ফুটারে লেখকের নাম এবং উপন্যাসের শিরনাম অথবা, বর্তমান চ্যাপ্টারের নাম দিতে পারো।
Image credit: VFS Digital Design on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As a 22-year-old art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]