প্রথমেরটা প্রথমে: এই দুনিয়ার প্রকাশনী শিল্প প্রয়োজন। যদি তুমি একজন সফল লেখক হতে চাও বা শুধু একজন সুখি লেখক হতে চাও, তোমার এমন মানসিকতা এড়িয়ে যেতে হবে, যা প্রচলিত প্রকাশনী শিল্পকে শত্রু হিসেবে দেখে। কেঁউ এটা বলতে পারে যে, এটা তাদের জন্য শুধু মাত্র একটা ব্যাবসা, তবে এটা একটা ব্যাবসা যা লেখক ও পাঠক উভয়কেই গত দুইশ বছর ধরে সাহায্য করে আসছে। সেটা বাদ দিওয়া হল, তবে এটা সত্য যে চিরাচরিত মাধ্যমে বই পাবলিশ করা অনেকটা একটা সুঁইয়ের ফুঁটো দিয়ে একটা উঠকে পার করার চেষ্টা করার মত। তাই, তুমি যদি প্রতিনিয়ত বই পাবলিশ করতে চাও তাহলে তা তোমাকে নিজে নিজে করতে হবে। যদি তোমার জানা না থাকে কোঁথায় থেকে শুরু করা উচিত, তাহলে তুমি নিচের ফর্মুলা অনুসরণ করতে পারো।
প্রথমে, শিখে নেও কিভাবে একজন প্রকাশকের মত করে ভাবতে হয়
যদি তুমি তোমার স্ব-প্রকাশনী ব্যাবসাকে স্বমৃদ্ধশালী করতে চাও তাহলে, তোমাকে জানতে হবে কিভাবে একজন প্রকাশকের মত করে ভাবতে হবে। আর, এখানেই প্রকাশনী শিল্পকে নিয়ে সকল অভিযোগ জ্বরিয়ে আছে: তারা এটা বুঝতে পারে না যে, কেন একজন প্রকাশক এমনটা করছে, কারণ তারা প্রকাশনীকে একটি ব্যাবসা হিসেবে মেনে নিতে চায় না। তুমি হয়তো কোন বিষয়ের প্রচার করতে চাচ্ছো বা অনুপ্রেরণা দিতে চাচ্ছো এবং শিল্প শিখাতে চাচ্ছো – কিন্তু, একজন প্রকাশকে এমন কিছু প্রকাশ করতে হবে, যা মানুষ কিনতে চাইবে। যখন স্ব-প্রকাশনী করবে তখন, তোমাকে শিল্প ও বাণিজ্যের মাঝে অথবা, তুমি কি লিখতে চাও ও মানুষ কি পড়তে চায় তার মাঝে সেই সঠিক জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে।
তারপর, তোমার সর্বসেরা বইটি লিখে ফেল
এই ধাপের কোন বিকল্প হবে না। একটি বই লিখো, কারন তোমাকে কিছু পাবলিশ করতে হবে, এবং তখন তোমার ১০০% চেষ্টা কর কারন, তোমাকে এমন বই পাবলিশ করতে হবে যা মানুষ কিনতে চাইবে। কোন রকম করে শেষ করার চেষ্টা কর না। যদি তুমি ঠিক মত না করে থাকো তাহলে, তা এটাই প্রমাণ করবে যে, কেন চিরাচরিত প্রকাশনী তোমার জন্য কাজ করছে না।
শিখে নেও কিভাবে বই ডিজাইন ও বাজারজাত করতে হয়, অথবা এমন কাউকে ভাড়া কর যে জানে কিভাবে করতে হয়
প্রকাশক থাকার একটি সুবিধা হল, তারা অন্য সবকিছুর দেখাশুনা করে থাকে, তাই তোমাকে যা করতে হয়, তা হল শুধু লিখা এবং সম্পাদকদের নির্দেশ ও পরামর্শ অনুযায়ি সংস্করণ করা। যদি তুমি স্ব-প্রকাশনীর রাস্তায় যেতে চাও, তাহলে তোমাকে এসব কিছু নিজে নিজে করতে হবে। একটি বই কভার ডিজাইন করা, পৃষ্ঠা বিন্যাস করা, প্রুফরিড এবং এটি সব জায়গায় প্রচার করা। তোমাকে এসব করতে শিখতে হবে অথবা, যথেষ্ট বাজেট রাখতে হবে কাউকে ভাড়া করার জন্য, যে এগুলো করতে পারবে।
একটি আইএসবিএন নিয়ে নিন
এটা অনেকটা আবশ্যিকীয় প্রয়োজনের মত। এটা অবশ্যক যদি তুমি তোমার বই বইয়ের দোকান, লাইব্রেরী এবং অনলাইন শপে বই ধারণ করাতে চাও এবং এটা অনেক পাঠকরাই বইয়ের নাম খুজার জন্য ব্যাবহার করে থাকে। সৌভাগ্যক্রমে, এই প্রক্রিয়াটি অপ্রচলিত নয়। https://www.isbn-international.org যাও এবং তোমার লোকাল আইএসবিএন এজেনসি খুঁজে বের কর, এবং সেখান থেকে নিয়ে নেও। যদি তুমি স্ব-প্রকাশনী করতে চাও তাহলে একটা সিঙ্গেল আইএসবিএন নেওয়া সম্ভব, তবে অনেকগুল আইএসবিএন একবারে নেওয়া ভাল কারণ, এটা তোমার টাকা ও সময় বাঁচাবে।
সর্বশেষে, একটি বণ্টন ব্যাবস্থা খুঁজে বের কর
যদি তুমি শুধু একটি প্রিন্ট রান বা ডিজিটাল রিলিস করতে চাও না কেন, তোমাকে একটা বণ্টন ব্যাবস্থা খুঁজে নিতে হবেই। যদি তুমি প্রিন্ট রান করাও তাহলে, তোমাকে আগে তা প্রিন্ট করতে হবে। তুমি অফিসের সরঞ্জাম ব্যাবহার করে নিজে নিজেই প্রিন্ট করতে পারো অথবা, কোন প্রিন্টিং কম্পানির কাছে পাঁঠাতে পারো, তা নির্ভরে করবে তুমি কি পরিমাণ কপি চাও এবং তারপর তা তুমি দোকানে চালানের মাধ্যমে বা নিজে নিজেই বিক্রি করতে পারো(এখন একটা ওয়েবসাইট নেওয়ার ভাল সময়)। যদি তুমি ডিজিটাল পথে যাও, তাহলে অনেক অপশনই রয়েছে, বর্তমানে অনেক লেখকই অ্যামাজন কিনডেল ডাইরেক্ট পাবলিশিং বেছে নিচ্ছে এর সহজে ব্যাবহার যোগ্যতা ও সুদূর প্রসারতার কারণে।
Image credit: U.S. Army RDECOM on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/01/hv1.jpg[/author_image] [author_info]Hiten Vyas is the Founder and Managing Editor of eBooks India. He is also a prolific eBook writer with over 25 titles to his name.[/author_info] [/author]