ক্লিসে শুরু হয় নতুন, চমকপ্রদ আইডিয়া, ফ্রেস এবং প্লট টুইস্ট হিসেবে। অনেক লেখকরাই এই ধরণের আইডিয়া এতটাই পছন্ধ করেন যে তারা অচেতনভাবে(কিছু সময় জেনে শুনে) তা তাদের গল্পে ব্যাবহার করেন। এগুলোর সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, যা ১০ বছর আগে নতুন ও অবিশ্বাস্য মনে হত, তা আজ একটি ক্লিসে। তবে, আমরা ক্লিসে তৈরিতেই পরে থাকবো না। বরং, আমরা সব থেকে পপুলার ক্লিসে গুলো চিহ্নিত করব। খুব সহজেই একটি ক্লিসে তোমার লেখায় চলে আশ্তে পারে এবং তোমাকে এটা বোঝাতে পারে যে তুমি নিজে থাকে এটা বানিয়েছ, আর এই জন্যই নিচে আমরা এমন ৫টি ক্লিসে জড় করেছি, যা থেকে তোমাকে সতর্ক থাকতে হবে।
১। ডুমসডে ডিভাইস
ডুমসডে ডিভাইস প্লট এমন এক হিরোকে কেন্দ্র করে হয়, যাকে পুরো দুনিয়াকে একটি ডিভাইস থেকে বাঁচাতে হবে যার পুরো দুনিয়াকেই ধ্বংস করার ক্ষমতা(যাদু বা বিজ্ঞান) রয়েছে। এটা যখন প্রথম বার হয়েছিলা তখন তা হয়ত উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, কিন্তু এখন এটা এত বারই ঘটেছে যে তা পাঠকদের মটেও বিস্মিত হয় না। এবং তারা যখন বিস্মিত হয় না, তারা বিনোদিতও হয় না। কেন না এটা একটু কমিয়া দেই, এবং এমন করি যে এটা এত টুকুই শক্তিশালী যে সেটা শুধু একটি শহরই ধ্বংস করতে পারে।
২। যাদুকরী বোর্ডিং স্কুল
হয়ত হগওয়ার্ডস প্রথম যাদুকরী বোর্ডিং স্কুল ছিল না, কিন্তু এটা ঠিক বাঁকিদের পপুলার করেছে। বর্তমানে, অনেক তরুন অ্যাডাল্ট ফ্যান্টাসি বইগুলো একটি বোর্ডিং স্কুলে ঘটে – সেটা হয়ে থাকে যাদুকরী বোর্ডিং স্কুল বা সাধারণ বোর্ডিং স্কুল যেখানে যাদু লুকায়িত থাকে। আরেকটি ক্লিসে যা এটা কেন্দ্র করে চলে তা হল একটি যাদুকরী শহরের সেটিং। প্রোটাগনিস্ট একটি বড় শহর হতে একটি ছোট শহরে আসে, এবং তুমি জানো না, শহরটি ভ্যাম্পায়ার, ওয়্যারউলভস, এবং পরীর বা অন্য কোন যাদুকরী জীবের গুপ্ত জনসংখ্যা দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। এটা এমন যেন বড় শহর গুলোতে সিম্পলি কোন যাদু নেই, এবং ছোট শহরে যাদুকরী সম্প্রদায়ের লুকিয়ে থাকার ভাল সুযোগ রয়েছে। এই ক্লিসে শুধু বেশি ব্যাবহারই করা হয় নি, এর কোন মানেই দারায় না। কিভাবে একটি ছোট শহরে লুকানো ভাল হতে পারে, যেখানে প্রায় সবাই সবাইকে চিনে, একটি বড় শহরে লুকানোর পরিবর্তে, যেখানে তুমি ভ্রিড়ের মাঝে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারো?
৩। বিপরীতরা আকর্ষিত হয়
এবং বিপরীতরা হল একটি ভাল মেয়ে(যে প্রায়ই মেরি স্যু হয়) ও একটি খারাপ ছেলে, বা অ্যান্টিহিরো। অ্যান্টিহিরো কারোই পরোয়া করে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সে মেরি স্যু কে দেখে এবং সে অনেক সুন্দরী, অবিচক্ষণ ও তার বড় বড় চোখ থাকার কারণেই হঠাৎ করেই ছেলেটি তার সাথে রাতে ক্রমাগত তার সাথে মনের কথা প্রকাশ করতে থাকে এবং তার কাছে নিজের আত্মার প্রকার করে। তাকে শুধু ভুল বুঝা হয়েছে বা তার কখনোই কাউকে তার দুর্বলা দেখানো উচিত নয় কারণ তাকে কেও সন্মান করবে না, অথবা তার প্রতি অনুগত হবে না ইত্যাদি। আর হ্যাঁ, এটা বলতে ভুলে যেও না যে তাকে দেখার আগে সে অসচ্চরিত্র ব্যক্তি ছিল, কিন্তু এখন, সে শুধু তার সাথেই থাকতে চায় এবং তার চোখ শুধু তার উপরেই।
৪। সিক্যুয়েল পৃথকীকরণ
এই ক্লিসে প্রায়ই রোমান্স উপন্যাসগুলোতে দেখা যেগুলোর সিক্যুয়েল থাকে ও যার নায়ক ও নায়িকা হয় প্রম বইয়ের প্রধান চরিত্রগুলো। তাদের ঝগড়া হয়, তারা আলাদা হয়ে যায়, এবং এরকম মনে হয় যে যা কিছুই প্রথম বইয়ে ঘঠেছিল তার সবকিছুই অর্থহীন হয়ে গিয়েছে। অথবা, তারা একে অপরের কাছে থেকে একটি ব্রেক নিচ্ছে, কারণ তাদের এক্সাথের জীবন তেমনটি নয় যেমনটি তারা কল্পনা করেছিল। অবশ্যই, হিরো হয়ত ভয় পাবে এবং চিট করবে, হয়তবা হিরোইন করবে, ম্যাটার করে না। গল্পটি সবসময় একই থাকে। তারা ঝগড়া করে, তারা আলাদা হয়ে যায়, তারা একে অপরকে মিস করে, এবং শেষমেষ তারা আবার একসাথে হয়ে যায়। যা উভয় অংশকে অর্থহীন করে, এবং প্রায়ই, প্রথম বই যেখানে তারা শেষমেষ একসাথে সুখে থাকে, তাকে অর্থহীন করে ফেলে।
৫। অভিভাবকের চাপ
আমাদের সকলেই সমস্যা থাকে, এবং আমাদের লেখা চরিত্রগুলোতেও তা থাকে। আসলে, একটি চরিত্রের সমস্যা যত বেশি, তার ভেতরের শয়তান, ত্রুটি ও ভেতরের অশান্তি যত বেশি, তত ভাল। এটা কি সত্য যে চরিত্রের ভেতরের অশান্তির পেছনে অভিভাবক কিছু প্রভাব রাখে। অবশ্যই তারা রাখে। কিন্তু, প্রত্যেক অভিভাবক বেশি করা-করি করে না এবং প্রোটাগনিস্টকে আরো কঠোর করে পড়তে বা যাদু অনুশীলন করতে বলে না। না, তারা কোন কারণ ছাড়া তাদের সন্তানদের উপর চাপ দেয় না। যদি তোমার গল্পের চরিত্রায়ণের জন্য অভিভাবকে এমন হতে হয়, তাহলে তার জন্য জোরালো কারণ প্রদান কর। অন্যথায়, এটা একটা ক্লিসে। হ্যাঁ, সব বাবা-মাই তাদের সন্তানদের জন্য সেরাটাই চান, কিন্তু তারা প্রায়ই সেটা তেই খুশি থাকেন, যা তাদের বাচ্ছারা করে।
Image credit: Louis Bavent on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]