ননফিকশন লেখনীরর বিভিন্ন রকম ক্যাটাগরি রয়েছে, ভ্রমণ থেকে শুরু করে সৃতি কথা থেকে রান্নাবান্না পর্যন্ত, এবং তা প্রত্যেক স্তররে ভিন্ন হয়ে থাকে, শুধু মাত্র তারা কি টপিক কভার করে তাই পর্যন্ত নয়, বরং সেগুলো কিভাবে লিখা হয়েছে সেটাও ভিন্ন হয়। উদাহরণ হিসেবে, একটি স্মৃতিকথার লেখার গঠণ একটি রান্নার বই থেকে অনেক ভিন্ন হবে। তবে, কিছু উপাদান আছে যা প্রতিটা গল্পে থাকে এবং যা একটি ননফিকশণ বইয়ে থাকা উচিত, তা সেটা যেই ক্যাটাগরিরি হোক না কেন। নিচে আমারা তাদের কিছু জড় করেছি।
১। একটি প্রধান আইডিয়া
ননফিকশনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমতি হল পাঠকদের অবহিত করা, দ্বিতীয়টি হল তাদের বিনোদন দেওয়া এবং তৃতীয়টি হল যা লিখা হয়েছে তার সততা নিয়ে পাঠকদের কনভিন্স করা। ননফিকশনের প্রধান আইডিয়াটা এমন ভাবে প্রকাশ করতে হবে যেন তা এই তিনটি শর্ত পূর্ণ করে। ধারণাটা, মূলত, বইটি কি নিয়ে তা বইয়ের শুরু তেই নিদিষ্ট করতে হবে, এবং তারপর বইটির কোর্সে মাধ্যে তা ভাল করে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং ডিটেইলস প্রদান করতে হবে। ডিটেইলস গুলো বইটির প্রধান আইডিয়ার উপরে হতে হবে, যা পাঠকদের ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ে পাঠকদের সবকিছু জানিয়ে দিবে।
২। পাঠকদের সাহায্য উপকরণ
ননফিকশন লেখনী সব সময়ই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর হয়। সেখানে পাঠকরা এমন অনেক কিছুরই সুম্মুখিন হবেন, যা তারা বুঝতে, কল্পনা করতে বা দৃষ্টিগোচর করতে পারবেন না। আর এখানেই পাঠকদের সাহায্য উপকরণ কাজে আসে – টেবিলস, গ্রাফস, ছবি, পরিভাষাকোষ যুক্ত শব্দ এবং অন্যান্য গঠনগত উপস্থাপনা। টেবিল ও গ্রাফ পাঠককে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে। ছবি ও চিত্রণ গুলো পাঠকদে কোন মুহূর্ত বা জায়গা কল্পনা করতে সাহায্য করবে। পরিভাষাকোষ যুক্ত শব্দ পাঠকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে অনেক কঠিন কোন শব্দ সহজে বুঝতে পারবেন।
৩। কারণ, প্রভাব এবং তুলনা
ননফিকশন লেখনী কাজ শুধু তথ্য প্রদান করাই নয়, বরং সেটা কোঁথায় থেকে এসেছে তাও বর্ণনা করা। এবং এখানেই কারণ ও প্রভাবের মাঝে সংযোগ চলে আসে, যা টপিকটির দুই(বা তার অধিক) উপাদানের মাঝে তুলনা করে। কারণ ও প্রভাবের মাঝে সংযোগ দুই ভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে – যেখানে প্রধান আইডিয়া কারণ হিসেবে কাজ করে, এবং ডিটেইলস প্রভাব হিসেবে, অথাব এর বিপরীতভাবে কাজ করে। তুলনা, এবং কিছু সময় রূপকও বর্ণনা করতে পারে কিভাবে বইয়ে লিখা বিষয়টি বাস্তব জগৎ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়, এবং কিভাবে ঐ তথ্য ব্যাবহার করা উচিত ও কিভাবে উচিত নয়, তা বর্ণনা করতে পারে।
৪। ফিকশন থেকে ধার করা উপাদান
একজন ননফিকশন লেখক ননফিকশন লিখার সময় ফিকশন থেকে কিছু বর্ণনামূলক উপাদান ব্যাবহার করতে পারেন, যদিও বইটি রান্নাবান্নার উপর হোক না কেন। লেখক তথ্য উপস্থাপন করবে(ননফিকশনের প্রথম উদ্দেশ্য) সাথে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও থাকবে, যা বর্ণনা করবে কিভাবে তারা সেই তথ্য গুলো জানতে পারলো যা বইয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। এই উপাদান ননফিকশনের দ্বিতীয় উদ্দেশ্যের উপর ফোকাস করে – বিনোদন, এবং সব কয়টি উদ্দেশ্যের সম্মীলন। লেখক তথ্য প্রদান করে একটি বর্ণনামূলক গল্পের মাধ্যমে যা বিনোদন মূলক। পূর্ব অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্ক প্রবৃত্তিজনক, যা ননফিকশনের তৃতীয় উদ্দেশ্য প্রতিনিধিত্ব করে – যা নির্ভর করে লেখকের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ঐ বিষয়ের উপর দক্ষতার উপরে।
৫। ফ্যাক্ট ছাড়া কিছু নয়
একজন ননফিকশন লেখকের কখনই খুব বেশি ফিকশন ব্যাবহার করা উচিত নয় – বা গল্পটি মজাদার করার জন্য নতুন কিছু তৈরি করা উচিত নয়। পাঠক একটি ননফিকশন বেঁছে নিবে কারণ তার একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কোন কিছু শিখতে চায়। অবশ্যই, বিনোদন প্রদান করা জরুরি, তবে নতুন কিছু আবিষ্কার করে নয়। যফি তুমি ফ্যাক্ট থেকে সরে গিয়ে কল্পনার জগতে চলে যেতে লাগো, তাহলে তুমি তোমার পাঠকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে, যা একজন ননফিকশন লেখকের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, বিনোদন প্রদান করার সাথে সাথে ফ্যাক্ট এর সাথে লেগে থাকলে এটা নিশ্চিত করবে পারবে যে, তোমার পাঠকরা তোমার ভবিষৎ বইগুলোও পড়বে এবং কিছু কি প্রদান করছ তার প্রতি আগ্রহী থাকবে।
Image credit: Pixabay[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic. As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]