তোমার পাঠকরা তোমার পরবর্তী বইয়ের জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে, ওইটা নিয়ে যেটা তুমি তাদের এক মাস আগে প্রমিস করেছিলা। কিন্তু, সেটা পরিপূরণ হবার ধারে কাছেও নেই। তোমার প্রকাশক সবসময়ই তোমার উপর নজর রাখছে। তোমাকে এটা করতেই হবে। তার জন্য, তোমাকে আগে একজন লেখক হিসেবে নিজের প্রোডাকটিভিটি বৃদ্ধি করতে হবে। সেটা করার অনেক উপায় আছে, তবে যেটা আসলেই অপরিহার্য তা হল এর প্রতি সম্পুর্ণভাবে ও গুরুত্ব সহকারে তোমার ডেডিকেশন, যেন তুমি সময় মত তোমার কাজ শেষ করতে পারো এবং তোমার পাঠকদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারো। নিচের মত কয়েকটি পরিবর্তন এবং সেটা তে লেগে থাকার সঙ্কল্প থাকলে, তুমি পারবেই!
১। লিখো
হ্যাঁ, এটা সব থেকে স্বাভাবিক মনে হয়। তবে এটা বিবেচনাযোগ্য কারণ লেখরা প্রায়ই কাজ ফেলে রাখে যখন তাদের লিখা উচিত। এটা ম্যাটার করে না যে, তুমি যেটা চেয়েছিলে সেটা সেই রকম হয়েছে কি না বা তোমার গল্প একটু বিপথগামী হয়ে পরেচে কি না। হ্যাঁ, এগুলো একটু ঝামেলা, তবে এগুলো এমন কিছু নয় যা তুমি সামলাতে পারবে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটা যে তোমার গল্পে এখন আরো বেশি শব্দ আছে এবং তুমি অনেকটা এগিয়েছ। এই প্রেরণাই তোমাকে বইটি আরো ভাল ভাবে শেষ করতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এবং লিখারা কথা বলার মাধ্যমে আমি ঐ নির্দিষ্ট বইটির উপরেই লিখতে বলেছি, নতুন কোন প্রজেক্ট বা র্যানডম কিছু লিখতে বলতে বলি নি। এগুলো মজার হতে পারে, কিন্তু এগুলো তোমাকে তোমার বই পাবলিশ করাতে কোন সাহায্য করবে না যদি তোমার পাঁচটি অসমাপ্ত ম্যানুস্রিপ্ট থাকে থাকে কিন্তু কোন তাই পাবলিশিং এর জন্য প্রস্তুত না থাকে।
২। ইডিট কোরো না
লেখার সময় ইডিটিং বা প্রুফরিডিং এর ঝামেলা করতে যেও না। তোমার আগের দিনের সকল কাজ ইডিট করা উপকারী মনে হতে পারে এবং পরের অংশে যাবার আগে এটা করার অনেক ভাল মনে হতে পারে, কিন্তু তুমি আসলে এক জায়গাতেই আটকে থাকছ। এই রকম কার্যপদ্ধতি কিছু কিছু লেখকদের জন্য কাজ করে থাকে, তাই যদি তোমার মনে হয় তুমি কখনই তোমার ইডিট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছ না, তাহলে এখন সময় এটা বাদ দিয়ে শুধু লেখার উপর মনযোগ দেওয়া। প্রথম খসড়াটি খারাপ হোক তবে কমপক্ষে বইটিতো সম্পূর্ণ কর। এটা সবসময়ই উন্নত করা যাবে বা আবার নতুন করে লিখা যাবে, কিন্তু বইটির মূল জিনিস কাগজে কলমে থাকবে।
৩। নিজের সময় নির্ধারণ কর
একটি সময়সূচী নির্ধারণ করার তোমাকে সবকিছু ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করবে। যদিও তুমি তোমার সময়সূচী মত না চল, তবুও তুমি এটা জানতে পারবে যে তুমি কত টুকু অর্জন করেছ এবং কত টুকু অর্জন করার চেষ্টা করতে পারো। এটাই সময়সূচীর মূল উদ্দেশ্য, যা তোমাকে সাহায্য করে তোমার লেখার মধ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে ঘুরে না বেরোতে এবং কোন কংক্রিট কিছু খুঁজে না পেতে। এটাকে একটি সাফল্য হিসেবে ধরো যদিও তুমি তোমার সময়সূচী অল্প একটুই অনুসরণ করে থাকো। অন্য কথায়, নিজেকে নিয়ে খারাপ বোধ করো না, যদি তুমি সময়মত শেষ করতে না পারো। এছাড়াও, নিজের সময়সূচী নিয়ে বাস্তবিক হও এবং নিশ্চিত কর যে তুমি নিজের জন্য যে পরিমাণ কাজ দিচ্ছ তা তুমি হ্যান্ডেল করতে পারবে। আর একটা আমাদেরকে পরবর্তী পয়েন্টে নিয়ে আসে, যা হল…
৪। টার্গেট নির্ধারণ কর
টার্গেট নির্ধারণ করা অনেক বড় একটি কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করতে সাহায্য করতে পারে। যদি তুমি তোমার ফাইনাল টার্গেটকে দৈনিক ও সাপ্তাহিক টার্গেটে ভাগ করে নেও, তাহলে তা তোমাকে তোমার সামনে কত টুকু কাজ পরে আছে তার একটি ভাল চিত্র প্রদর্শন করে। এটা আরো সাহায্য করে তোমাকে এই লেভেল এর জিনিস হ্যান্ডেল করেত, যা তুমি আসলেই কন্ট্রোল করতে পারো, ভবিষৎ-এ একটি অনির্দিষ্ট তারিখ, অনির্দিষ্ট ডেডলাইন এর মধ্যে একটি অনির্দিষ্ট শব্দের একটি বই লিখার পরিবর্তে। এর সমস্য লক্ষ্য করেছ? ছোট, কংক্রিট এবং অধিক সহজে অর্জন করার মত টার্গেট, তোমাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। আরেকটা সুবিধা হল, তুমি যখনই এই ছোট ছোট টার্গেট পূরণ করবে, তোমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে, সাথে বইটি সম্পূর্ণ করার জন্য তোমার অনুপ্রেরণাও বেড়ে যাবে।
৫। তোমার গল্প আলোচনা কর
না, এটা র্যানডম মানুষদের দেখার জন্য তোমার ব্লগে দিতে হবে না। তবে, তুমি তোমার কাছের কিছু মানুষকে গোপন ভাবে তা জানাতে পারো এবং তাদের মতামত থেকে উপকৃত হতে পারো। একটা হতে পারে তোমার পার্টনার, একজন কাছের বন্ধু, একটি বাচ্চা ,বা একজন বিশ্বস্ত সম্পাদকও হতে পারে যার কাছে তুমি তোমার আইডিয়া গুলো শেয়ার করতে পারো। এটা তোমার আইডিয়া ও তোমার বই-ই থাকেবে, তবে অকৃত্রিম সমালোচনা ও উৎসাহ কোন ক্ষতি করবে না। তুমি কি করছ তা অন্যদের জানতে দেওয়ার সব থেকে বড় সুবিধা হল, তাদের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থাকবে এবং তারা বিভিন্ন সমস্যা দেকিয়ে দিতে পারবে। কিছু ফ্রেশ মতামত নিয়ে, তুমি হয়ত আরো ভাল করে তোমার গল্প ও চরিত্রগুলোকে বাস্তবিক করতে পারো।
Image credit: Pixabay
[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2015/02/IMG_20141217_101736441.jpg[/author_image] [author_info]Kavitha is a freelance content writer and French translator, and has been working in this field since 2008. She has degrees in computer applications and international business and has a background in business and international trade. She enjoys learning languages and is currently learning Japanese. Her interests vary from books and writing to travelling and history.[/author_info] [/author]