প্রত্যেক উপন্যাসে বা ছোট গল্পে, প্রধান চরিত্র বা নায়ক হল সব থেকে বিশেষ ভাবে তৈরি চরিত্র। সাধারণত প্রধান চরিত্রের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা পাঠকে তার সাথে সংযোগ স্থাপন করা, একই সাথে এমন কিছু ত্রুটিও থাকে যা চরিত্রে ননুন মাত্রা যোগ করে ও প্রধান চরিত্র্টিকে আরো বেশি বাস্তব করে তুলে। কিন্তু, নিছে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো হল সেই বৈশিষ্ট্য যা গল্পটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তারা প্রধান চরিত্রের মনোভাবে অনুপ্রেরণা যোগায় এবং বিভিন্ন ঘটনা ও প্রভাবের যোগসুত্রের কারণ হিসেবে কাজ করে, যা যেকোন গল্প বা উপন্যাসকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। বিভিন্ন কর্ম যা প্রধান চরিত্র করে থাকে, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যা সে নিয়ে থাকে, তা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ফলাফল।
১। কৌতূহল
একজন কৌতূহলী নায়ক সকল রহস্য, সকল ধাদা সমধান করতে চাইবে এবং এমন কিছু জানতে চাইবে, যা তার নাও জানা উচিত হতে পারে। এর মানে এই যে প্রধান চরিত্র অ্যাকশান নিবে, রহস্যের সুত্র খুজবে এবং সেটি সাধারণত তাদেরকে সিকরেট আবিষ্কারের দিকে নিয়ে যাবে এবং তারা যা খুঁজে পেয়েছে, তা হয়ত তাদেরকে কোন বিপদের দিকে নিয়ে যাবে। মানুষ স্বভাবগত ভাবে কৌতূহলী – তবে একটি প্রধান চরিত্রের আর কিছু বৈশিষ্ট্য দরকার, যা তাকে কোন কাজ করাবে ও গল্প সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
২। আত্মরক্ষা
কৌতূহলের পরেই আসে আত্মরক্ষা কারণ প্রধান চরিত্র যতই কৌতূহলী হোক না কেন, যদি তারা তাদের অনুসন্ধানের জন্য বিপদে পরে, তখন তা তাদের জন্য অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে। এই সময়ে তাদের আত্মরক্ষার চেতনা কাজে আসে – এবং এটি প্রধান চরিত্রকে আগের তুলনায় ভিন্নভাবে সাড়া দেত্তয়ায়, বিপদ থেকে বাচার লক্ষে অথবা নিজেকে ক্ষতির হাত থাকে রক্ষার উদ্দেশ্যে। তার মানে এই না যে, গল্পটি এখানেই শেষ হয়ে যাবে, বরং এটা গল্পের দিক পরিবর্তন করেবে।
৩। দায়িত্ব
অনেক প্রধান চরিত্রের জীবিকা থাকে যা দায়িত্বের একটি ধারনা নিয়ে আসে – গোয়েন্দারা বা ডাক্তাররা, যারা সবকিছুই করবে তাদের সাহায্য করার জন্য, যদের তাদের সাহায্য প্রয়োজন। এবং রাজা-রাণিরা ও পরিবারের প্রধানরা তাদের মানুষকে রক্ষা করতে চাইবে। দায়িত্ব সবসময় দায়িত্বজ্ঞানের একটা ধারনা দ্বারা সংসর্গী হয়, কিন্তু শুধু দায়িত্ব গল্পটিকে নিজে নিজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এবং এই জায়গায় সহমর্মিতা কাজে আসে।
৪। সহমর্মিতা
সহমর্মি প্রধান চরিত্রকে সহজে পছন্ধ করা যায় ও সংযোগ স্থাপন করা যায। সহমর্মিতা দায়িত্ব ও দায়িত্বজ্ঞানকে সম্পূর্ণ করে – প্রধান চরিত্র শুধু এই জন্য অ্যাকশান নেয় না যে কারণ তাকে করতে নিতে হবে, বরং এই জন্য যে সে, যাদের সাহায্য দরকার, তাদেরকে সাহায্য করতে চায়। এটা তাকে কোন রহস্য সমাধান বা কোন জিম্মিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যেতে ও সকল সীমা পার করতে অথাবা, প্রধান চরিত্র যদি ডাক্তার বা বিজ্ঞানী হয়, তাহলে কোন রুগীর জন্য সঠিক ঔষধ খুঁজে বের করতে অনুপ্রাণিত করে। সহমর্মিতা প্রধান চরিত্রকে সাড়া দেওয়ায় ও তাদের জন্য আসলেই একজন হিরো বানিয়ে দেয়, যাদের সে বাঁচাতে বা রক্ষা করতে চায়।
৫। নেতৃত্ব
নেতৃত্ব প্রায় না বলা মাত্রই কাজ করে থাকে। প্রধান চরিত্রকে একজন নেতা হতে হয় গল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। একজন নেতা কোন কিছু হবার জন্য বসে থাকে না, বরং তার পরিবর্তে অ্যাকশান নিয়ে থাকে। একজন ভাল নেতা তাদের সম্পর্কে পরওয়া করে যাদের সে নেতৃত্ব দেয়, এবং এখানেই উপরে উল্লেখিত বৈশিষ্ট কাজে আসে ও প্রধান চরিত্রকে সম্পূর্ণ করে। একজন নায়ক যে তার আশেপাশের মানুষদের জন্য পরওয়া করে, তার অনেক কিছুই হারানর থাকে যদি সে তাদেরকে রক্ষা কারার মিশনে অসফল হল, এবং এটি সাসপেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি একটি শিকল হিসেবেও কাজ করে – এটি প্রধান চরিত্রকে এমন কিছু করতে বাধা দেয় যা, যে সকল মানুষের সে পরওয়া করে তাদের কোন বিপদে ফেলে। যা তাকে এমন একটি পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় যা তাকে সবকিছু ভাল ভাবে ভেবে দেখতে বলে। যা তাকে একজন ব্যাক্তি হিসেবে বাড়িয়ে তুলে এবং তার চরিত্রে আরেকটি অংশ যোগ করে।
Image credit: Tim Regan on flickr and reproduced under Creative Commons 2.0[author] [author_image timthumb=’on’]https://writingtipsoasis.com/wp-content/uploads/2014/12/photo.jpg[/author_image] [author_info]Georgina Roy wants to live in a world filled with magic.
As an art student, she’s moonlighting as a writer and is content to fill notebooks and sketchbooks with magical creatures and amazing new worlds. When she is not at school, or scribbling away in a notebook, you can usually find her curled up, reading a good urban fantasy novel, or writing on her laptop, trying to create her own.
[/author_info] [/author]